ঢাকা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে বাস চলবে হিমালয়কন্যা নেপালের কাঠমান্ডুর পথে। আজ সোমবার সকালে দু'টি বাস রাজধানীর কমলাপুরের আন্তর্জাতিক বাসডিপো থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছে। এ রুটের বাস সার্ভিসের নানা দিক খতিয়ে দেখতে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে প্রথম বাসটি। ওই বাসটিতে করে কাঠমান্ডু যাচ্ছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, দাতা সংস্থা এবং ভারত ও নেপালের প্রতিনিধিসহ ৪৫ জন যাত্রী। আজ সকাল ৮ টায় যাত্রা শুরু করে বাসটি। পরীক্ষামূলক যাত্রা সফল হলে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালেরদেশের আলোচনার নির্ধারিত দিন থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে।
ঢাকা থেকে যাত্রা করে রংপুর-সৈয়দপুর হয়ে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট হয়ে ভারতের শিলিগুঁড়ি যাবে বাসটি, সেখান থেকে নেপালের কাকরভিটা হয়ে কাঠমান্ডু পৌঁছাবে। এক হাজার কিলোমিটার দূরত্বের এ পরীক্ষামূলক যাত্রায় দুইদিন সময় নিলেও বাণিজ্যিক যাত্রায় সময় আরও কম লাগবে।
তবে ৪৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে যাত্রা করা বাসটি কাঠমান্ডু গিয়ে পৌঁছাবে আগামী বৃহস্পতিবার। তিনদিন সময় নিয়ে বাসটি কাঠমান্ডু পৌঁছাবে। যাত্রাপথে বাংলাদেশ অংশ ও ভারতের অংশে ৩৭ কিলোমিটার অংশ সমতল ভূমি কিন্তু নেপালের অংশের কি অবস্থা সেটাই যাচাই করার জন্য কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করবেন।
বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুঁইয়া জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলক যাত্রা সফল হলে তিন দেশের আলোচনায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে বাস পরিচালনা করা হবে।
তবে এই সার্ভিসে যাত্রীদের খরচ কেমন হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। বাস সার্ভিস চালু হওয়ার পর অপারেটররা সেটা ঠিক করবেন। তবে বিমানের চেয়ে অনেক অনেক কম হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে সড়ক পথে যাত্রী পরিবহনে ২০১৫ সালের ১৫ জুন থিম্পুতে মোটরযান চুক্তি হয়। পরের বছরের শুরু থেকেই যান চলাচল শুরুর পরিকল্পনা ছিল। ভুটান চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় অনিশ্চিয়তায় পড়ে বিবিআইএন। ভুটানকে বাদ রেখে বাকি তিন দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও নেপালের সঙ্গে চারটি রুটে বাংলাদেশি যানবাহন চলতে পারবে।