গেম অফ থ্রোনস বা হ্যারি পটার এই জায়গা টাকে জনপ্রিয় করে দিয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ১০ লক্ষ টুরিস্ট আসে। জায়গার নাম ক্লিফস অফ মোহার। বিরক্তিকর জায়গা।
বেসিক্যালি নর্থ আটলান্টিক সাগর এর উপরে প্রাকৃতিক ভাবে অসুখ এর মত কিছু পাহাড় গজিয়ে উঠেছিল ৫০০ -৬০০ বছর আগে। যেহেতু অনেক গুলা পাশাপাশি, তাই নাম ক্লিফস অফ মোহার।
আপনার যদি ফ্রিজ এর ভেতরে কেমন লাগে জানতে ইচ্ছা করে তাহলে যেকোনো সময় যেতে পারেন। যদি কারেন্ট অফ থাকলে ফ্রিজ এর ভেতরে কেমন লাগে তা জানতে চান তাহলে সামার এর দিকে (জুলাই-অক্টোবর) বেস্ট হবে।
গেলে কিছু পাহাড় পাবেন, কিছু ঘাস পাবেন আমাদের এস এম হল এর মত, আর সাগর পাবেন। সাগর মানে লবণাক্ত পানি আর কি। পানি ধরতে পারবেন না কারণ পানি নিচে, আপনি পাহাড় এর উপরে, যদি না লাফ দিতে ইচ্ছা করে।
এই ক্লিফ থেকে বাতাস প্রতি বছর ই মানুষ এবং কখনো কখনো গাড়ি ও টেনে ফেলে দেয়। সুতরাং আপনি যদি বেশি হালকা হন, সাবধানে থাকবেন বা মোটা কাউকে জড়িয়ে ধরে থাকবেন পারলে।
ক্লিফস অফ মোহার এর পাশেই একটা ক্যাসেল আছে। পোস্ট এ একটার বেশি ছবি দিলে বাজে লাগে তবে আপনি গুগল করে ছবি পাবেন। বেসিক্যালি লাল বাগ এর কেল্লা কিন্তু লাল না, পাথর এর মত- আর ছোট।
এক ভাইকিং ক্যাসানোভা ছিল ব্রিটিশ রা যখন আয়ারল্যান্ড চালাতো সেই সময়ে। সে বানিয়েছিল এটা মেয়ে দের পটাতে। কথিত আছে, যে ৬ জন এই ক্যাসেল টা বানিয়েছিল, তাদের কে রেড ওয়েডিং এর মত একটা অনুষ্ঠানে নিয়ে বিষ খাইয়ে মারা হয়, যেন আর বানাতে না পারে সিমিলার জিনিস।
সব মিলিয়ে অখাদ্য। লবণাক্ত পানি, কর্দমাক্ত পাহাড় এবং ভয়াবহ বাতাস- এই ৩ মিলে ক্লিফস অফ মোহার।
তারপরেও যদি কারো অনেক সখ থাকে, যেতে আপনাকে প্রথম এ যেতে হবে আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড সেঞ্চেন ভিসা কাভার করবে না। তবে এপ্লাই করা সোজাই। এমবাসি ওয়েবসাইটেই সব পাবেন, ফর্ম ফিলাপ করে কাগজ পত্র ডি এইচ এল এ করে নয়াদিল্লী এমবাসি তে পাঠাতে হয়।
ডাবলিন এ নামার পরে ডাবলিন থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টার দূরত্বে এই জিনিস। ৩ ঘণ্টা শুনে মনে হওয়ার কোন কারণ নেই ধানমন্ডি থেকে কলাবাগান। পুরাই দেশ এর এক পাশ থেকে আরেকপাশ - প্রায় ৩০০ কিলোমিটার এর জার্নি।
এতক্ষণ বাস এ বসে থাকতেও বিরক্ত লাগবে, যাত্রা পথে গাছ, ভেড়া, গরু আর পাহাড় ঝড়না ছাড়া আর কিছু নেই সো জার্নি টাও বিরক্তিকর।
আমি গত বছর একবার গিয়েছিলাম। তখন রিভিউ লেখা হয় নি। গত সপ্তাহে আম্মু আসার কারণে মা কে নিয়ে আরেকবার গিয়েছিলাম। তাই ভাবলাম এই ফালতু জিনিস টার রিভিউ লিখি।
কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করলেই হবে।
এডমিন বলেছে লিখে দিতে পরিষ্কার পরিছন্নতা নিয়ে কিছু। আপনার হাতে যদি চিপস এর প্যাকেট বা কফির কাপ থাকে এবং আপনার মন চায় যে ঐটা আটলান্টিক এ ছুড়ে মারবেন, নির্দিধায় মারতে পারেন। তবে পকেটে ১৫০ ইউরো যেন থাকে। নাহলে বিপদ হবে।