বাঙ্গালি ভ্রমণ রসিক এটাই চিরায়ত, আর ভ্রমনের জন্য শীতকালের কোন বিকল্প নাই। এই বাংলাদেশে যত ছুটি আর যত অফিস কামাই শীতকালেই নেয়া সম্ভব। সেই সাথে বাচ্চাদের স্কুল ছুটি থেকে শুরু করে অনেক কিছুই এক সাথে মিলে যায় কিছু দিন ঘুরে আসার জন্য।
তবে ভ্রমণের জন্য শীতকাল অনেক ভালো হলেও, ঠান্ডাতে অসুস্থ হবার সম্ভাবনাটাও প্রবল। তবে অনেকের মতে সবাই নাকি এক সাথে এক কাজ করলে মনের জোরে কাজ হয়ে যায়। কথা টা মিথ্যা না হলেও সবার ক্ষেত্রে সত্যিও নয়।
আমাদের প্রত্যেকের শরীরের গঠন প্রনালী এক হলেও ডি এন এ অথবা জিন গঠন এবং শারীরিক সহনীয়তা আলাদা। তাই সবার সাথে সবাইকে তাল না মেলানোর আহবান।
আজ আলোচনা করবো কিছু জরুরী ব্যাপার নিয়ে যে গুলো হয়তো আমরা আগে থেকে জানি কিন্তু সঠিক সময়ে ব্যবহার করতে আমরা ভুলে যাই।
১। শীতকাল, প্রচুর ঠাণ্ডা তাই সবার আগেই আপনাকে গরমের কাপড়ের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। সকলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে গরমের কাপর সঙ্গে রাখুন, সম্ভব হলে এক সেট কাপড় বেশি রাখুন।
২। বুট টাইপ জুতা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, সাথে একাধিক মোজা। পা গরম থাকলে শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারবেন।
৩। হিস্টাসিন টাইপ ওষুধ সাথে রাখুন। সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নাজাল স্প্রে। ঘুরতে গিয়ে নাক বন্ধ হওয়া অথবা হাঁচি দিতে থাকলে ব্যাপার টা নিজের কাছেই বিরক্তিজনক।
৪। অচেনা অজানা জায়গায় গিয়ে পুকুরে গোসল করবেন না। সম্ভব হলে গরম পানি দিয়ে অথবা ডীপ টিউবওয়েলের পানি সাধারণত গরম হয় বিধায় ব্যবহার করতে পারেন
৫। সকাল এবং রাতের বেলা, বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমানোর পূর্বে গরম পানি পান করার চেষ্টা করুন।
৬। হুডি টাইপ জ্যাকেট অথবা সোয়েটার ব্যবহার করাটা উত্তম।
৭। সাথে কালো জিরা এবং মধু রাখাটা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
৮। হুট করে কোন ক্রমে ঠাণ্ডা লেগে বসলে ওষুধের পাশাপাশি শীতকালীন দেশিয় ফল, যেমন আমলকী, কাগজী লেবু, জলপাই ইত্যাদি হাতের কাছে যা পাওয়া যায় খেলে তাড়াতাড়ি ফলাফল পাবেন।
৯। যাদের ডাস্ট কিংবা কোল্ড এলার্জী আছে, তারা মুখে মাস্ক কিংবা মাফলার ব্যবহার করুন।
১০। বাচ্চাদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন, যেন তারা পানি অথবা ধুলাবালি না ধরে।
১১। সেনসিটিভ ট্রাভেলার রা গভীর রাত কিংবা খুব ভোরের জার্নি যথা সম্বভ পরিহার করার চেষ্টা করুন।
১২। এই শীতে এসি না দরকার পরলেও এসি বাসে যাতায়াত করাটা উত্তম। কারন এসি বাসে নন এসির থেকে বাতাস এবং ধুলা টা কম লাগে। তবে অবশ্যই বাসের এসি টা যেন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে। নতুবা হিতে বিপরীত হতে পারে।
১৩। ঘুরতে গিয়ে আদা চা সত্যিই উপকারি অন্তত এই শীতের জন্য।
১৪। হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে ঠাণ্ডা পানি এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস সম্পুর্ণ পরিহার করুন।
১৫। পরিবহণ যেটাই হোক, সামনের সিট এড়িয়ে বসুন।
১৬। কিছুটা ব্রিটিশ টাইপ হলেও, হাত মোজা টা বেশ কার্যকর এবং স্টাইলিশও বটে।
১৭। হাফ হাতার পোশাক না নিয়ে ফুল হাতার পোশাকে জোর দিন। এবং অবশ্যই এক্সট্রা ব্যাক আপের কথা এক্সট্রা জামা কাপড় নিতে ভুলবেন না।
১৮। ত্বকের যত্নে লিপ জেল ও বডি লোশন সাথে রাখুন।
১৯। আইস্ক্রিম কিংবা বরফ জাতিয় খাবার পরিহার করুন।
২০। শীতে ভেজা কাপড় শুকানো টা সময় সাপেক্ষ। তাই ফ্যামিলি টাইপ ট্রাভেলার রা ব্যাগ অথবা লাগেজে ইস্ত্রি রাখা টা বেশ ভালো কাজে দিতে পারে