নিজের পুরো দেশটাকে দেখা শেষ। এবার না হয় বিদেশ চলুন। যেতে পারেন ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোতে। আর আপনার এই ভ্রমণকে সহজ ও ঝক্কিমুক্ত রাখতে থাকছে বিশেষ কিছু দিকনির্দেশনা ।
ভুটানে তিন রাতের পরিকল্পনাই আদর্শ। যাঁরা প্লেনে যাতায়াত করেন, তাঁদের কাছে মূল আকর্ষণ রাজধানী থিম্পু, পারো এবং পুনাখা। যাঁরা বাই রোডে যাতায়াত করেন তাঁরা সীমান্ত শহর ফুনসোলিংটাও বেড়িয়ে নেন।
প্রথম দিন : বিমানে ঢাকা থেকে পারো নেমে চলে আসুন থিম্পু। হোটেলে চেক ইন করে পুনাখা যাওয়ার পারমিটের জন্য আগে আবেদন করে নিন। ভুটানে গেলে শীতের পোশাক নেবেন। থিম্পুতে দেখবেন পাহাড়ি নদী, বৌদ্ধ মন্দির, রাজপ্রাসাদ, ন্যাশনাল মেমোরিয়াল স্তুপা, বিবিএস টাওয়ার, সেক্ষেনারি ফার্মাস মার্কেট, জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ন্যাশনাল পার্ক, টাকিন চিড়িয়াখানা, ফুল আর আপেলের বাগান।
থিম্পুতে থাকুন হোটেল নরলিং, টিটি, সিঙ্গে, জেই জ্যাং, তাশি ডেলেক, দ্রুক হোটেলে।
দ্বিতীয় দিন : যাত্রা করুন পুনাখায়। পারমিট জোগাড়ে ঝক্কি তেমন নেই। আবেদন করার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই মিলে যায়। থিম্পু থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে পুনাখা। পুনাখায় পৌঁছে দেখবেন পাথরের ছড়াছড়ি। আছে ঝুলন্ত ব্রিজ আর ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা নদী। একদিন সময় বেশি হাতে থাকলে তাকসাং মনাস্ট্রিতে ট্রেকিং করতে পারেন।
তৃতীয় দিন : পারো শহর যান। ভুটানের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পারোতে। ভুটান ভ্রমণ পারো থেকেই শুরু হবে এবং পারোতেই শেষ হবে। পারো থেকে থিম্পুর দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। এখানে দেখতে পাবেন গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। পাচু নদীর ওপর কাঠের ব্রিজটাও বিখ্যাত। এখানকার জাদুঘরেও যেতে পারেন।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি, সোম আর বুধবার ভুটানের পারো শহরে দ্রুক এয়ারওয়েজের ফ্লাইট আছে। একই দিনগুলোতে পারো থেকেও ঢাকা ফিরতি ফ্লাইট আছে। ফলে শুক্র বা শনিবার যাত্রা করে সোম বা বুধবার ফিরে আসতে পারেন। ভারতের ট্রানজিট ভিসা থাকলে কলকাতা থেকেও যাতায়াত করতে পারেন। রবিবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাতে কলকাতার এসপ্লানেড বাসস্ট্যান্ড থেকে ভুটানের সীমান্ত শহর ফুনসোলিংয়ে বাস যায়।
থাকবেন যেখানে : পারোতে ভুটান পর্যটনের হোটেল ওলাথাং, জ্যামিলিং, সামদেন চোলিং, টাইগার নেস্ট, জুরমি দোরজি এবং পুনাখায় কুয়েং, রিলাক্স ইন, ওয়েলকাম, ডামচেন রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য।
খাওয়াদাওয়া : ভ্রমণের সময় সঙ্গে পানি ও শুকনো খাবার সব সময় কিছু না কিছু রাখবেন। অনেক সময় পাহাড়ি পথে খাবার কিছুই পাওয়া যায় না।
ভ্রমণের সেরা সময় : বর্যার দুই মাস বাদে সারা বছরই ভ্রমণ করা যায়। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বিভিন্ন উৎসব হয়। এ সময় নানা দেশ থেকে পর্যটকরা আসে।
খরচ : ভুটানে তিন দিনের ট্যুরে থাকা, খাওয়া, প্লেনভাড়াসহ ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ পড়বে।
ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও দর্শনীয় স্থানগুলোর প্রায় সব কিছুই ঠিকঠাক আছে আগের মতোই। তিন রাতের নেপাল ভ্রমণ আদর্শ।
ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও দর্শনীয় স্থানগুলোর প্রায় সব কিছুই ঠিকঠাক আছে আগের মতোই। তিন রাতের নেপাল ভ্রমণ আদর্শ।
প্রথম দিন : ঢাকা থেকে কেবল বাংলাদেশ বিমান ঢাকা-কাঠমাণ্ডু যায়। সপ্তাহে চার দিন। প্রথম দিন যতটা সম্ভব কাঠমাণ্ডু দেখুন। কাঠমাণ্ডুতে দেখুন কুমারীঘর, ষোড়শ শতাব্দীর তৈরি রাজলক্ষী নরসিংহ মল্লের প্রাসাদ। দেখুন বসন্তপুর দরবার স্কয়ার, স্বয়ম্ভুনাথ, বড়া নীলকণ্ঠ, শিবপুরী পাহাড়, হনুমান ধোঁকা। কাছেই মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে নেপালের প্রাচীন শহর পাটান। সম্রাট অশোকের আমলের মন্দির দেখতে পাবেন এখানে। নানা রকম মুখরোচক খাবার আর শপিং করার জন্য থামেল বিখ্যাত। আছে প্রচুর মাঝারি ও সাধারণ মানের হোটেল। এখানে মাল্লা, রয়্যাল সিঙ্গি, ইয়াক অ্যান্ড ইয়েতির মতো দামি হোটেল থেকে শুরু করে মারশিয়াঙ্গদি, কাঠমাণ্ডু ইকো সহ আরো সাধারণ মানের হোটেল আছে।
দ্বিতীয় দিন : সকালেই বাসে বা ট্যাক্সিতে কাঠমাণ্ডু থেকে পোখার রওনা করুন। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ১০টি পর্বতের মধ্যে তিনটি এই শহরের মাত্র ৩০ মাইল দূরত্বের মধ্যে-ধৌলাগিরি, অন্নপূর্ণা ১ এবং মানাসলু। পোখারায় পাঁচতারা হোটেল ফিশটেইল লজ থেকে শুরু করে ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট, হোটেল ল্যান্ডমার্ক, হোটেল কান্তিপুর, হোটেল থার্ড পোলসহ আরো নানা মাঝারি ও সাধারণ মানের হোটেল আছে। হাতে চার বা পাঁচ দিন সময় থাকলে লুম্বিনী, চিতওয়ান, ভক্তপুর, জনকপুর ইত্যাদিও দেখতে পারবেন।
তৃতীয় দিন : পোখারা থেকে সকালের বাসে ফিরে আসুন নাগরকোট। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের জন্য নাগরকোট সেরা। হিমালয়ের মোট ১৩টি পর্বত রেঞ্জের মধ্যে আটটিই নাগরকোট থেকে দেখা যায়। দেখুন, চারপাশের তুষারাবৃত পর্বতমালা। ক্লাব হিমালয়ার মতো পাঁচ তারা মানের হোটেল থেকে শুরু করে ফোর্ট রিসোর্ট, হোটেল প্যারাডাইস ইন, স্পেস মাউন্টেনসহ নানা মাঝারি ও সাধারণ মানের হোটেল আছে।
চতুর্থ দিন : সকালে চলে আসুন কাঠমাণ্ডুতে। প্লেন ছাড়ে বিকেল ৩টার দিকে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেনাকাটা করতে পারেন।
খরচ : নেপালের কাঠমাণ্ডু, পোখারা আর নাগরকোটে চলনসই হোটেলে থেকে তিন বেলা খাওয়া, যাতায়াতসহ প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ পড়বে।
সাধারণত বাংলাদেশের পর্যটকরা শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ একসঙ্গে ভ্রমণ করেন। কারণ কানেকটিং ফ্লাইটের কারণে প্লেনভাড়া বেঁচে যায়। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার মিহিন লঙ্কা এয়ারলাইন্স প্রতিদিন ঢাকা থেকে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো হয়ে মালদ্বীপের রাজধানী মালে যায়। ফলে মালের প্লেনের টিকিট কেটে একই খরচে শ্রীলঙ্কাটাও ঘুরে দেখে তারপর মালে যেতে পারেন। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে তিন দিন আদর্শ সময়।
প্রথম দিন : ঢাকা থেকে বিমানে কলম্বোর বন্দরনায়েক বিমানবন্দরে নেমে সোজা ক্যান্ডি চলুন। কলম্বো থেকে ক্যান্ডির যাত্রাপথে পিন্নাওয়ালা থেমে দেখে নেবেন হাতিদের এতিমখানা। ক্যান্ডির শ্রী দালাদা মালিগাওয়া আশ্রম বৌদ্ধদের অন্যতম পবিত্র স্থান। মন্দিরের কাছেই পাত্তিরিপুয়া টাওয়ার। রাজার বাড়িও এই মন্দির চত্বরের মধ্যে। ক্যান্ডিতে এগুলো দেখতেই সারা দিন কেটে যাবে। আর শপিংয়ের জন্য ক্যান্ডির জেমস গ্যালারি খুবই বিখ্যাত।
দ্বিতীয় দিন : ক্যান্ডি থেকে চলুন নুয়ারা এলিয়া। চারদিকে শুধু চা বাগান। পৃথিবীর অন্যতম সেরা চায়ের বেশ কয়েকটি জাত এই নুয়ারা এলিয়াতে উৎপন্ন হয়। ফিরে আসুন ক্যান্ডিতে।
তৃতীয় দিন : সকালের নাশতা সেরে ফিরুন রাজধানী কলম্বোয়। পুরাতন পার্লামেন্ট ভবন, আবাসিক এলাকা, সিটি শপিং কমপ্লেক্স, স্থানীয় খোলাবাজার, বন্দর নায়েক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হল, দুর্গ, সিরামিক করপোরেশন শোরুম ঘুরে দেখুন।
কোথায় থাকবেন : ক্যান্ডিতে উদাপেরাদেনিয়া, থাপোদারামা রোড, লিউয়েলা এলাকায় দুই বেডের রুম দুই থেকে তিন হাজার টাকায় পেয়ে যাবেন। কলম্বোয় গালে রোডে চলনসই হোটেলে তিন থেকে চার হাজার টাকায় দুই বেডের রুম পেয়ে যাবেন।
খরচ : তিন রাত থাকা-খাওয়া, ভ্রমণসহ জনপ্রতি অন্তত ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হবে।
ছোট ছোট শত শত দ্বীপ নিয়ে মালদ্বীপ। এক দ্বীপে এয়ারপোর্ট তো আরেক দ্বীপে হোটেল। ডিনার করতে চলুন আরেক দ্বীপে। এখানে বেড়ানো বলতে বিরামহীন বিশ্রামকেই বোঝায়। সাধারণত তিন রাতের জন্য মালদ্বীপ বেড়াতে যান। মালদ্বীপে ঢাকা থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই, তাই হয় মিহিন লঙ্কায় কলম্বো হয়ে অথবা মালদিভানসে চেন্নাই হয়ে মালে পৌঁছতে হবে।
প্রথম দিন : হোটেলেই বিশ্রাম করুন। চলনসই হোটেলে রাতপ্রতি চার-ছয় হাজার টাকা খরচ হবে। মাফুশি বা হুলহুমালে দ্বীপে থাকতে গেলে খরচ আরেকটু বাড়বে। রাতপ্রতি ৮-১০ হাজার টাকা পড়বে।
দ্বিতীয় দিন : দেখুন ন্যাশনাল মিউজিয়াম, মালে জামে মসজিদ, মুলি-আগি প্যালেস, ইসলামিক সেন্টার ইত্যাদি। সময় পেলে হুলহুমালে দ্বীপ, প্যারাডাইস আইল্যান্ডসহ আশপাশের দ্বীপ ঘুরে দেখতে পারেন। এখানে সি প্লেনে ভ্রমণের সুযোগ আছে।
তৃতীয় দিন : এদিন সাবমেরিনে সমুদ্রের তলার বিচিত্র জীবজগৎ ঘুরে দেখুন। জলক্রীড়ায় অংশ নিন। সৈকতে সময় কাটান। পরদিন সকালের নাশতা সেরে সময় অনুযায়ী এয়ারপোর্টে আসুন।
খরচ : তিন রাতের মালদ্বীপ ভ্রমণে মোটামুটি মানের হোটেলে থাকা-খাওয়াসহ জনপ্রতি অন্তত ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ পড়বে। শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ একসঙ্গে ভ্রমণ করলে মোট পাঁচ দিন আদর্শ সময়। তিন দিন শ্রীলঙ্কায়, দুই দিন মালদ্বীপে। জনপ্রতি খরচ হবে আনুমানিক ৭০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য থাইল্যান্ড ভ্রমণে ছয় রাত ও সাত দিনই আদর্শ।
প্রথম দিন : ঢাকা থেকে ব্যাংকক এয়ারপোর্ট নেমে চলুন পাতায়া। ব্যাংকক থেকে পাতায়া ১৬০ কিলোমিটার । সময় লাগে সোয়া দুই ঘণ্টা। পাতায়া যাওয়ার পথে সুরাসাকে শ্রীরাচা টাইগার জু। এখান থেকে পাতায়া ৪৫ মিনিটের পথ। এখানে বাঘের শো হয়। কুমিরের চাষ হয়। পাতায়া শহরের রয়্যাল গার্ডেন প্লাজার দোতলায় আছে চমৎকার এক জাদুঘর। এখানে পৃথিবীর একমাত্র তিন পাওয়ালা ঘোড়াসহ হাজার হাজার আশ্চর্য জিনিস আছে। এ ছাড়া ঘুরে দেখুন পাতায়া বিচ, জমটিয়েন বিচ।
দ্বিতীয় দিন : এই দিনে সারা দিন পাতায়ার কোরাল আইল্যান্ড ভ্রমণ করে রাতে চলে আসুন ব্যাংকক।
তৃতীয় দিন : সারা দিন ব্যাংকক শহর ঘুরে দেখুন। আছে নানা রকমের প্যাকেজ ট্যুর। বাংলাদেশিরা এখানে এলে সুকুমভিত এলাকার অ্যাম্বাসাডর হোটেলেই বেশি থাকে। সুকুমভিতে রুম ভাড়া ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার বাথ। ঘুরে আসুন থাইল্যান্ডের পুরনো রাজধানী ধনবুরির বিখ্যাত স্নেক ফার্ম। একই দিনে ঘুরে দেখতে পারেন চায়না টাউন, সিয়াম ডিসকভারি শপিং মল, ১৫০ বছরের পুরনো রামা ৫-এর বাসস্থান ভিমানমেক ম্যানশন, চাতুচাক (চাতুচাক পার্ক), সাবওয়ে রেলস্টেশন (পাতাল ট্রেন) ও থাইল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং বাইওকি স্কাই হোটেল।
চতুর্থ দিন : চতুর্থ দিন চলুন ফুকেট। ব্যাংকক থেকে প্রতিদিন ফুকেট যাওয়ার ফ্লাইট আছে। চাইলে বাসেও যাওয়া যায়। ফ্লাইটে যাওয়াই আদর্শ। স্থানীয় বাহন টুকটুকে যেতে লাগবে ১০ বাথ। মিনিবাসে যেতে লাগবে ৮০ বাথ আর ট্যাক্সিক্যাবে যেতে লাগবে ৪০০ বাথ। ফুকেটে বিচগুলোতে সময় কাটান।
পঞ্চম দিন : পাতং বিচে যান। এরপর ফুকেট ফ্যান্টাসি থিম পার্ক দেখুন। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় থিম পার্ক। পাতং বিচ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে কমলা বিচের ১৪০ একর জায়গাজুড়ে পার্কটি। বিকেল ৫টা ৩০ থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে।
ষষ্ঠ দিন : আইয়ারা প্যালেসে এলিফ্যান্ট শো দেখুন। ফুকেটে থাকার জায়গা বান কারনবুরি রিসোর্ট।
সপ্তম দিন : ফুকেট থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে পাংগা বে। আসতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। চারপাশে অনেক ম্যানগ্রোভ জঙ্গল চোখে পড়বে। জেমস বন্ড আইল্যান্ড যাওয়ার পথে দেখা মিলবে অনেক ছোট ছোট দ্বীপের।
সাত রাত ও আট দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের জন্য আদর্শ। এখানে পাঁচ দিনের পরিকল্পনা দেওয়া হলো।
প্রথম দিন : ঢাকা থেকে জাকার্তায় সরাসরি ফ্লাইট নেই। কানেকটিং ফ্লাইট ধরে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়া দুই শহর হয়েই জাকার্তা আসা যায়। জাকার্তা পৌঁছে হোটেলে চেক ইন করে লাঞ্চ সেরে নিন। আঞ্চল সি বিচ দেখতে বেরিয়ে পড়ুন।
দ্বিতীয় দিন : সকাল সাড়ে ৮টায় যাত্রা শুরু। প্রথমেই মার্দেকা স্কয়ারে অবস্থিত ১৩২ মিটার উঁচু ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মনুমেন্ট দেখে নিন। কেনাকাটা করতে চাইলে চলুন তামান আঙগ্রেক, আইটিসি মাঙ্গাডুয়া, সানায়ান সিটি বা পুরি ইন্দাহ-যেখানে খুশি।
তৃতীয় দিন : জাকার্তা থেকে অনেক ফ্লাইট প্রতিদিন বালি আসে। হোটেলে চেক ইন করুন। দিনের বাকিটা সময় কুতা বিচে কাটান এবং বালি দ্বীপের সবচেয়ে সুন্দর সূর্যাস্ত উপভোগ করুন।
চতুর্থ দিন : নাশতা সেরে ওয়ারিবাং ভিলেজে বালির বিখ্যাত ‘বারং নৃত্য’ উপভোগ করুন। আরো দেখবেন সেলুক ভিলেজ, মাস, বাটুয়ান ও উবুদ। এরপর এলিফ্যান্ট কেভ, তাম্পাক সিরিং, পূর্ণা তীর্থা এম্পুল মন্দিরের পবিত্র জলের ঝরনা দেখা শেষে সোজা চলুন কিনতামানি। বালি দ্বীপের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় মাউন্ট আগুং আর জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট বাটুর আছে এখানে। বালির সবচেয়ে উঁচু পর্বত মাউন্ট আগুং ।
পঞ্চম দিন : নাশতা সেরেই বেরিয়ে পড়ুন। প্রথমেই মেংউ দর্শন। তামান আইউন রয়্যাল টেম্পল আছে এখানে। এরপর একে একে ব্রাতান লেক ও ক্যান্ডি ডিউ দানু বিনোদন সেন্টার, বেদুগুল বোটানিক্যাল গার্ডেন, ক্যান্ডি কুনিং মার্কেট। তানালথ টেম্পল পাথুরে পাহাড়ের ওপর একটি অনন্যসাধারণ মন্দির। এটি বালি দ্বীপের আরেক অতুলনীয় আকর্ষণ।
ভ্রমণকে সহজ ও ঝক্কিমুক্ত রাখতে অনেকেই ট্যুর অপারেটরদের স্বরণাপন্ন হয় । এতে করে সব টেনশন ট্যুর অপারেটরদের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে রিলাক্সে ঘুরে বেড়ানো যায় ।
বিভিন্ন দেশের প্যাকেজ সূমুহ সম্পর্কে জানতে ও যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন :-
Office Address:
Trip Silo Office Adress: House # 477 (2nd Floor), Road # 32, New DOHS, Mohakhali. Dhaka # 1206.
Contact Number: 01689777444 , 01873111999
Office: +88 09678 111 999
Facebook Page: facebook.com/tripsilo