বাংলাদেশিদের ‘অনঅ্যারাইভাল’ ভিসা (চীনের বিমাবন্দরে নামার পর দেয়া ভিসা) দেবে চীন। শুক্রবার সচিবালয়ে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ঝাও কেঝি এই আশ্বাস দেন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সব নাগরিকদের অনঅ্যারাইভাল ভিসা দেয়ার কথা বলে গেছে। আমাদের ট্যুরিস্ট, আমাদের ব্যবসায়ী যদি সময়ের অভাবে ভিসা না নিয়ে যেতে পারেন তাহলে সেখানে গেলে তাদের অনঅ্যারাইভাল ভিসা দেবে।’
এটা চূড়ান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা আলাপ করে গেছেন, পরবর্তীতে সময়ে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে তারা ঘোষণা দেবেন।’
এ ছাড়া বৈঠকে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ও পার্টি কমিটির সম্পাদক ঝাও কেঝির নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটি শুরু হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সচিবালয়ে উপস্থিত হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় চীনের মন্ত্রীকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি দলের সালাম গ্রহণ করেন ঝাও কেঝি।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অধীনস্থ সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। চীনের পক্ষে ছিলেন ঝাও কেঝির নেতৃত্বে দেশটির ২৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।